জীবননগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সন্তান প্রসব

হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (১৯) এক কিশোরী সন্তান প্রসব করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে সন্তানটি এক আত্মীয়ের কাছে দেয়া হয়েছে।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর মা জানান, আমার তিনটি সন্তান। এর মধ্যে দুই মেয়ে আর এক ছেলে। সন্তানরা ছোট থাকাকালীন সময়ে ১৫ বছর আগে সন্তানের পিতা আবুল হোসেন আমাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর আমি মানুষের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে সন্তান তিনটি বড় করে তুলেছি। এরই মধ্যে বড় মেয়েকে বিয়েও দিয়েছি। ছোট মেয়েটি জন্মগতভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (বোবা)। গত কিছুদিন আগে হঠাৎ করে প্রতিবেশীরা আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের শারিরীক পরিবর্তন লক্ষ্য করে আমাকে বিষয়টি জানায়। একসময় লোকলজ্জার ভয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মেয়ের পেটের বাচ্চাটি নষ্ট করি ফেলবো। সিদ্ধান্তহীনতার এক পর্যায়ে গতকাল বুধবার সকালে আমি মাঠে কাজে গেলে মেয়ের প্রসব বেদনা ওঠে। পরে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে রাতেই জীবননগর পৌর শহরের আশতলাপাড়ায় এক আত্মীয়ের কাছে সদ্যজাত শিশু সন্তানকে দিয়ে দিই। আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অবুঝ মেয়ের এমন ক্ষতি কে করলো তা বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা শ্যামল বলেন, একটি অসহায় পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অবিবাহিতা এক কিশোরী একটি সন্তান প্রসাব করেছে বলে শুনেছি। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 

Comments (0)
Add Comment