জীবননগর ব্যুরো: চলতি রবি মরসুমে কৃষককে সহায়তার লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ভূট্টা, বোরো ধান, সরিষা, গম, পেঁয়াজ ও গ্রীষ্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় ৭ হাজার ৩৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভূট্টাবীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। ৪শ কৃষককে ১ কেজি করে বোরো ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। ২শ’ কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। ১৫০ জন কৃষককে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। ১০০ জন কৃষককে ২৫০ গ্রাম করে পেঁয়াজ বীজ, ৫ কেজি করে ডিএপি সার এবং ৫ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে মুগবীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যের এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকনের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ প্রমুখ।জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের ক্ষুদ্র চাষি মিনাজউদ্দীন বিনামূল্যের সার ও বীজ পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে খুবই অভাবের ভেতর আছি। ভূট্টা বীজ ও সার কিনে লাগানোর মতো টাকা নেই। বর্তমান সরকার আমাদের মতো গরীব কৃষকদের কথা ভেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ দিচ্ছেন। এতে কৃষকরা খুব উপকৃত হবে। জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, করোনোভাইরাসের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের হাতে টাকা নেই। তাদের কথা ভেবে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ দিচ্ছেন। এতে কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেন।