সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দশমীতে বিয়েতে মাংস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের জেরে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটলেও ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় পুনরায় বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বর সবুজ আলী ও কনে সুমি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ অক্টোবর রাতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর সবুজ আলী নিজেই।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের সোনারদাড়ী গ্রামের মৃত রহিম আলির ছেলে সৌদি প্রবাসী সবুজের সাথে মোবাইল ফোনে দুই বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমির বিয়ে হয়। কয়েকদিন আগে সবুজ ছুটিতে এসে স্ত্রী সুমিকে নিজ বাড়িতে নেয়ার জন্য গত ২৪ অক্টোবর বরযাত্রী নিয়ে কন্যার বাড়িতে উপস্থিত হন। ওই দিন বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষের লোকজন বেশি মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বরপক্ষের ৩ জনকে মারপিট করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ সমাধান না করে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ২৫ অক্টোবর বিকেলে স্ত্রী সুমি ভুল বুঝতে পেরে বর সবুজের নিকট চলে যায়। পরে কনেপক্ষের অনুপস্থিতে পুনরায় বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
কনের পিতা নজরুল ইসলাম জানান, বরপক্ষের লোকজন খাওয়া দাওয়া করার আগেই হলুদের উপহার ফেরত দেয়া নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ওই সময় মিটমাট হয়ে যায়। পরে সবার খাওয়া দাওয়ার শেষ পর্যায়ে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর পক্ষের লোকজন। এনিয়ে আমাদের সাথে বরপক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে মেয়েকে তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ করিয়ে নিই। আমাদের না জানিয়ে মেয়ে চলে গেছে। ওই মেয়ের কোনো খোঁজ আমরা রাখতে চাই না।
বরের ছোট মামা ফারুক হোসেন জানান, খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনো বিষয় নয়, আমরা গায়ে হলুদের উপহার ফেরত দেয়া নিয়ে মূলত বিরোধ। সেই বিরোধকে তারা মাংস বেশি খাওয়া বলে প্রচার করে আমাদের মারধর করেছে। শুনেছি গত সোমবার রাতে তারা আবার বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।