স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও এক নারীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় ওই নারীসহ তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগে ব্যাংকার রাজ্জাক ও তার ছেলে লিখনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত ওই নারীর স্বামী মুদি ব্যবসায়ী স্বপন ৭ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বাগানপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রাজ্জাক (৫৫) ও তার ছেলে লিখন (২২)।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে। সোনালী ব্যাংকে চাকরির সুবাদে বাগানপাড়ায় বাড়ি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। এরই মাঝে একই এলাকার মুদি দোকানি স্বপনের স্ত্রী ইতি খাতুনের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের ওই পরকীয়ার ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। স্থানীয়রা এর আগেও কয়েকবার এ ঘটনাটি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করে দিলেও পরে আবার স্থানীয় লোকজনকে এড়িয়ে বিভিন্নভাবে তারা মেলামেশা করে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে, এ ঘটনায় গত দেড় বছর পূর্বে উভয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। সে সময়ও স্থানীয়রা মিমাংসা করে দেয়। কিছুদিন পর থেকে আবারও তারা যোগাযোগ শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যার পর আলী নূর স্কুলের সামনে স্বপনের স্ত্রী ও ব্যাংকার রাজ্জাককে একসাথে দেখে ফেলে স্থানীয়রা। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের সাথে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে আবার ঝগড়া বাধলে ব্যাংকার ও তার ছেলে, দোকানী স্বপন ও তার স্ত্রী ইতিসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও এলাকার মহিলাদের মধ্যে ত্রিমুখি মারামারি বেঁধে যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকার ও তার ছেলেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। একই সাথে আহত ইতি খাতুন তার স্বামী স্বপনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে ৭-৮ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ব্যাংকার ও তার ছেলে লিখনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আহত ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। একই সাথে আটক দু’জনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখিয়ে আগামীকাল (আজ) আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।