স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় লোকমান হাকিম ইউনানী আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) লিমিটেডের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মতবিনিময় সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে নিয়ে লোকমান হাকিম ইউনানী আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইফতারে মিলিত হন। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মো. রুহুল আমীন।
লোকমান হাকিম ইউনানী আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান পুষ্টিবিদ আলীম উদ্দিন লস্করের সভাপতিত্বে স্বাগত ব^ক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ সেলিম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান, ইনডেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) জি এ কাদের ও পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ইস্রাফিল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শাহ আলম সনি ও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূর হোসেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকে প্রাকৃতিক পদ্ধতির চিকিৎসা চলে আসছে। ইউনানী- আয়ুর্বেদ ওষুধে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এই কোম্পানীর বর্তমানে ৬৭টি ওষুধ আছে। এসব ওষুধের চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পর উচ্চ মাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা চারবছর মেয়াদী এবং স্নাতক পাস ছেলেমেয়েরা ছয় মাস মেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেই ইউনানী চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করতে পারবেন। এবং মর্যাদাপূর্ণ পেশার পাশাপাশি সম্মানজনক আয়ও করতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানটিতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের নামে কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে স্বল্প খরচে কম্পিউটার শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। মাত্র ২০ দিনে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে পবিত্র কোরআন শরীফ শেখানের ব্যবস্থা চালু করা হবে।