স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামে আরেকজনের জমিতে অবৈধভাবে গুদামঘর তৈরির অভিযোগ উঠেছে ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে বিবাদীপক্ষ নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে দাবি বাদীপক্ষের। গতকাল শনিবার শাহাপুর গ্রামে গিয়ে চলমান নির্মাণকাজের সত্যতা পাওয়া যায়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মালেক বলেন, বাদী রহজান নেছার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলায় উল্লেখিত জমিতে নির্মাণ কাজের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে বিবাদীপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে পুনরায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে বিচারক আগামী ছয় মাসের জন্য তা মঞ্জুর করেন। আদালতের এ আদেশ অমান্য করে বিবাদীপক্ষ মামলাধীন জমিতে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন।
আব্দুল মালেক আরও বলেন, রাতের আঁধারে সার্চলাইট জ্বালিয়ে দ্রুত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা আইনের লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বিবাদী ফজলুল হক বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় আমাদের নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের আবেদনে আদালত ওই আদেশ বাতিল করলে আমরা আবারও নির্মাণকাজ শুরু করি। উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করে ফজলুল বলেন, নিজের কেনা জমিতে নির্মাণকাজ করতে এসে মিথ্যা মামলায় পড়েছি। আমরা আদালতের ওপর আস্থাশীল। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। আদালতের আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।