স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুরে অনামিকা খাতুন (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিকেল ৩টার দিকে সদর হাসপাতাল এলাকায় দেশ ক্লিনিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন অনামিকা খাতুন। মা ও সন্তান উভয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। আহত অনামিকা খাতুন সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের পান্তাপাড়ার ইউসুফ আলীর মেয়ে। পিতা ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা অপবাদ রটানোর দাবি তুলে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী গনি, মুসি ও সাথী আমার মেয়ে অনামিকাকে মারধর করতো। এরই জের ধরে গতকাল বেলা ১২টার দিকে বাড়িতে এসে মারধর করে মেয়েকে। এসময় মেয়ের পেটেও লাথি মারে তারা। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মারধরসহ পেটে লাথি মারলে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, অনামিকার পেটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে বোঝা যাবে বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি-না। এদিকে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দুপুরে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে দেশ ক্লিনিকে নেয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ডা. মশিউর রহমান অস্ত্রপচার সম্পন্ন করেন। ডা. মশিউর রহমান বলেন, বিকেলে অস্ত্রপচার সম্পন্ন করি। মা ও বাচ্চা দুজনই শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।