বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দোস্ত, সুবদপুর, বোয়ালমারি, মজিবপাড়া, কুন্দিপুর গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বিকল্প পথ তিন কিলোমিটার হওয়ায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত সাঁকোটি প্রতি বছর মেরামত করেন নিজেরাই। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের ইউনুচ আলীর বাড়ির পাশে অবস্থিত চিত্রা নদী। নদীর ওপর স্থায়ী কোনো সেতু না থাকায় নিজেদের নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এ গ্রামগুলোর মানুষেরা। উপস্থিত হাবিবুর রহমান কাজল, আব্দুল লতিব, হারুন, আলাউদ্দিন, আবুল, সাইদুল, মনি, আবু বাক্কা, ইনু, আসাদুল, জামাত আলীসহ অনেকেই জানালেন, সেতুর অভাবে হাজারো মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। ফলে জনগণের দুর্ভোগ পৌঁছায় চরমে। প্রতি বছর এলাকার মানুষেরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন আর চাঁদা তুলে কেনেন বাঁশ-খুঁটি। ৫টি গ্রামের কৃষকের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ আছে। তাদের উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর ওপর দিয়ে বাড়িতে আনতে হয়। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মাথাই করে ফসল বহন করতে হয়। এতে করে উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রায় সময় কৃষকেরা মাথায় করে মালামাল আনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদের ব্রিজ করার একতিয়ার রয়েছে ৫০ ফুটের। এখানে ১৩০ ফুট লম্বা ব্রিজ লাগবে। ৫০ ফুটের ব্রিজ করা হলে নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়বে। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি নির্মাণের। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে একটি ব্রিজ নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।