স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঘুমন্ত পিতা আবদুর রশিদকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে ইয়াসিন আলী। আহত পিতাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথার ক্ষতস্থানে ৩০-৩৫টা সেলাই দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখম আবদুর রশিদ (৪৫) ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
আহতের বড় ভাই বসির আহমেদ বলেন, নিজের বোনকে জ্বালানি কাঠসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেয়ায় সেটা পছন্দ করতো না ভাই ইয়াসিন। এ নিয়ে পিতা আব্দুর রশিদের সঙ্গে প্রায়ই গ-গোল করতো ছেলে ইয়াসিন। এরই জের ধরে বুধবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর চেচামেচি শুনতে পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্তায় আমার ভাই আব্দুর রশিদকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনার পর থেকে ইয়াসিনকে পাওয়া যায়নি।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল হক বলেন, আব্দুর রশিদের মাথায় দুই স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের লেগেছে। ডান কান কেটে গেছে। ক্ষতস্থানে ৩০-৩৫টা সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাজহারুল ইসলাম প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে বলেন, বোনকে জ্বালানি কাঠ দেয়া নিয়ে ভাই ইয়াসিনের সঙ্গে তার বাবার গ-গোল হয়। এই জের ধরে ভোরে ঘুমিয়ে থাকা পিতাকে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ইয়ামিন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে জেনেছি। তাকে চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে তার পিতা।