গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামে বন্যা হালদার (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়ির রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে দর্শনা থানা পুলিশ। বন্যা হালদার খাড়াগোদা বাজারপাড়ার সুজিত হালদার ওরফে কৃষ্ণ হালদারের স্ত্রী ও ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ ছালাভরা গ্রামের মিন্টুর মেয়ে। নিহতের পরিবারের দাবি, বন্যা হালদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়।
বন্যার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বলেন, গত ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। গত রোববার জামাই ষষ্ঠীতে স্বামী কৃষ্ণ হালদার পিতার বাড়িতে না নিয়ে যাবার কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এতে স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রী বন্যা। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সবার অগোচরে রান্নাঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পিতা বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। ছোট সন্তান রেখে কোনো মা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচার চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানান, মেয়ের পিতা খুবই দরিদ্রের কারণে স্বামীর সংসারে বন্যাকে অনেক কষ্ট আর গ্লানি সহ্য করতে হয়েছে। কিছুদিন আগে বন্যা সংসার করবে না বলে আসতে চাননি। পরে লিখিত করে ছেলের পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবীর জানান, সকালে রান্নাঘর থেকে বন্যার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে আত্মহত্যা নাকি হত্যা!