:
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কালুপোল গ্রামে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তি দর্শনা থানায় আত্মসমর্পন করেছে। অপর দিকে ধর্র্ষিতাকে ধর্ষকের পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে ধর্র্ষিতার পরিবারকে জোরপূর্বক বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে আশ্রয়দাতা বাবলু ফকিরের বিরুদ্ধে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারী উপস্থিত না থাকলেও ধর্ষক ও স্কুলছাত্রী থানায় অবস্থান করছিলো বলে জানাগেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামে ৮ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে পুলিশ ধর্ষক শান্তি বিশ্বাসের ছোট ভগ্নীপতি একই গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নয়নকে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ধর্র্ষিতা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষকের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন কালুপোল গ্রামের আশ্রয়দাতা বাবলু ফকির ওরফে বাবলু জোয়ার্দ্দার। সেই সাথে ধর্র্ষিতার পরিবারকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বাবলু। ফলে ধর্ষিতার মা কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে মেয়েকে কালুপোল গ্রামে রেখে পিতার বাড়ি নিজগ্রাম আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ওপর মহলের নির্দেশে নয়নকে আটক করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লুৎফুল কবির বলেন, স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নয়নকে গ্রেফতার নয় আটক করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা হলে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের জোয়ার্দ্দারপাড়ার মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে এক সন্তানের জনক শান্তি বিশ্বাস তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং রাতে ছোটসলুয়া গ্রামের জনৈক এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। স্কুলছাত্রী জানায়, রাতে তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে শান্তি বিশ্বাস। মেয়ে নাবালিকা এবং শিশু হওয়ায় ঘটনার ৪ দিন পর গত সোমবার তার মা বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে নয়নকে আটক করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়মিত মামলা হয়েছে কি-না জানা না গেলেও পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত শান্তি বিশ্বাস দর্শনা থানায় আত্মসমর্পন করেছে বলে জানাগেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকাই বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।