স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর সেতু নির্মাণের সাত বছর পর সেতুর উভয়প্রান্তে ৬০০ ফুট রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়। গত ২৭ মার্চ থেকে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর কাবিখা প্রকল্প থেকে ১৫ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দিয়েছেন।
এদিকে, গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ.দা.) এনামুল হক. উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজ পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শৈলমারী-উজলপুর নীলমারীপাড়াগামী রাস্তায় উজলপুর বিলের ওপর ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মিত হয়। সেই থেকে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তা অব্যবহৃত পড়ে আছে। চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আঁখি এন্টারপ্রাইজ এটি নির্মাণ করে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ১০৬ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ৬০ ফুট সেতুর উভয়প্রান্তে ৬০০ ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৫ মেট্রিক টন গত বরাদ্দ পাওয়া গেছে । যার বাজার মূল্য ৭ লাখ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সাতবছর পরও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর মহোদয়কে আমি নিজে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ মেট্রিন টন গম বরাদ্দ দিতে রাজি হন। ওই বরাদ্দের পর উজলপুর সেতুর উভয়প্রান্তে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামানতের বিলটি আজও ফেরত পায়নি।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, বিষয়টি তাকে কেউই জানায়নি। বিষয়টি জানার সাথে সাথে রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।