জীবননগর ব্যুরো: জন্মান্ধ আশানুর খাতুন। এখন তার বয়স ৩৮ বছর। নিঃসন্তান তিনি। দেখারও কেও নেই। ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চলে তার। সেই আশানুরের কিডনীতে পাথর হয়েছে। অসহ্য যন্ত্রণা করে। চিকিৎসক জানিয়েছেন অপারেশন করে কিডনীর পাথর অপসারণ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা; কিন্তু এতো টাকা নেই জন্মান্ধ আশানুরের। অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তিনি সরকারি সহায়তাসহ দেশের দানশীল মানুষের কাছে হাত পেতেছেন।
জীবননগর শহরতলীর গোপলনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর মেয়ে আশানুর। জন্ম থেকেই তিনি চোখে দেখেন না। জন্মান্ধ তিনি। ছোট বেলা থেকেই গ্রামে-গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন আশানুর। আশানুর খাতুন জানান, গত ৩ মাস পূর্বে তার কিডনীতে পাথর ধরা পড়ে। ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডা. আসাদুজ্জামানের নিকট থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভালো হচ্ছে না। যন্ত্রণা কমছে না। চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্রুত কিডনী হতে পাথর অপসারণ করতে হবে। অপারেশন করতে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা; কিন্তু অপারশেন করার মতো এতো টাকা নেই আশানুরের। আবার অসহ্য যন্ত্রণাও আর সহ্য করতে পারছেন। এ অবস্থায় তিনি চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তাসহ দেশের দানশীল ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছেন। বিকাশ ০১৯২৫- ৩৮৮৯১৬ নম্বরে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে তিনি।