স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চলতি মরসুমে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য (৪৫ টাকা কেজি হিসেবে) ১৩৫ কোটি টাকা। চলতি মরসুমে জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় শহরের সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আ¤্রকাননে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম গাছ থেকে সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। চলতি মরসুমে ৩০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের আশা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বানিজ্যিকভাবে উদ্বোধন করা হলো আম সংগ্রহ মরসুম। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মহলদার আ¤্রকানন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রকারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) বিভাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সহ-সভাপতি কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস ও আব্দুল কাদের সোহানসহ আম বাগান মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। আম সংগ্রহ মরসুমের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, গুটি আম ও বোম্বাই আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম সংগ্রহ মরসুম শুরু হলো। নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ যেন আম না ভাঙে। অপরিপক্ক আম না ভাঙে। কার্বাইড দিয়ে আম না পাকায়। খাওয়ার উপযোগী আম বাজারজাত করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মরসুমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার জন্য আম সংগ্রহের যে সূচি দেয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক ও অস্বাস্থ্যকর আম বাজারজাত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত : চুয়াডাঙ্গা জেলায় এরপর ২২ মে থেকে হিমসাগর, ২৫ মে থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ২১ জুন থেকে ফজলি এবং ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। কেউ যেনো কোনভাবে অপরিপক্ক আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত না করতে পরে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে প্রশাসনের।