নির্যাতনের শিকার নারীর পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনে এক নারী ও এক পুরুষকে একসাথে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার পর ওই দুজনকে একটি কক্ষে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার দুজন হলেন হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। তাদের বেঁধে রাখার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী সৌদি প্রবাসী। এলাকার ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় দুজনকে একসঙ্গে পাওয়া মাত্রই দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এ বিষয়ে রোববার সকালে সালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে ওই নারী জানান, তাকে মিথ্যা কলঙ্কের জালে ফাঁসাতেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত রাতে আমার ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মিজান। সে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে সংসার ছাড়া করতে আমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’ এসময় ওই নারী রাতভর তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
গ্রাম্য সালিসে উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের লোকজন তাদের ব্যাপারে একমত না হতে পারায় বৈঠক স্থগিত করে মিজানকে তার দুলাভাইয়ের জিম্মায় এবং ওই নারীকেও তার দুলাভাইয়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা. আলম হোসেন বলেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তখন তারা হাত বাঁধা অবস্থায় ছিলো না। তবে তাদের সারারাত বেঁধে রাখা হয়েছিলো এ বিষয়ে শুনেছি এবং ছবি ফেসবুকে দেখেছি। এ বিষয়ে নির্যাতিতরা আইনের আশ্রয় নিলে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
এ ঘটনায় গাংনী থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি, কেউ আমাদের কাছে এ পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। তাই এখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।