আসমানখালি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী রকিবুল ইসলাম। গত শনিবার ২৬ মে আলমডাঙ্গা থানায় এঘটনার বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। প্রথমত বিষয়টি প্রকাশ না হলেও গতকাল জানাজানি হলে আলমডাঙ্গা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। ঘটনার দিনই আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে এমনটি দাবি করেন রাকিবুল ইসলাম।
এদিকে রাকিবুল ইসলাম সাক্ষরিত আলমডাঙ্গা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগের কপি দৈনিক মাথাভাঙ্গার কাছে এসেছে। রকিবুল ইসলাম বলেন, গত আট মাস আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের স্কুলপাড়ার মাহাবুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গেট বন্ডবিল গ্রামের বকুল হোসেনের মেয়ের হীরা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই হিরা খাতুন পরকীয়াসহ উশৃঙ্খল জীবন-যাপন শুরু করে। বিয়ের পরপরই আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার স্ত্রী সবসময় এটা সেটা বাইনা করতো। পরকীয়া ও বেপরোয়া চলাফেরার করণেই আমাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে গত তিন মাস আগে আমার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। গত শনিবার আমাকে না জানিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় কোনো এক ক্লিনিকে গিয়ে ৬ মাসের বাচ্চার গর্ভপাত ঘটান আমার স্ত্রী। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে ওইদিনই আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। হিরা খাতুনের উশৃঙ্খল জীবন-যাপনের কারণে তিনি গর্ভপাত করিয়েছেন বলে রাকিবুল ইসলামের পরিবারের ধারণা।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাতে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আগামীকাল (আজ) থানায় গিয়ে বিষয়টি দেখবো বলে জানান তিনি।