।। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী।।
আজ ১৯ রমজান। রমজানের মাগফেরাতের দশকের আর মাত্র একদিন বাকি। রোজার প্রতি আমাদের এখন আরও যতœবান হওয়া উচিৎ। কারণ আমরা কেহই জানি না আমরা মাগফেরাত বা ক্ষমা হাসিল করতে পারলাম কি-না। সামনে আসছে নাজাতের দশক। এখন থেকেই আমাদেরকে নাজাতের উপযোগী বানাতে হবে। এই মাসের যে সুবিধা তা অন্য মাসে পাওয়া যাবে না। অন্যান্য মাসের রোজা রমজানের রোজার কখনও সমকক্ষ হতে পারে না। এক হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণ ব্যতীত রমজানের একটি রোজাও ভঙ্গ করবে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও তার বদলা হবে না (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি)। কারণ, এই মাসে আল্লাহর রহমত বৃষ্টি ধারার ন্যায় ঝরতে থাকে এবং প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। এই মাসে একটি নফল আদায় করলে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়; আর প্রতিটি ফরজের ছওয়াব অন্য মাসের সত্তরটি ফরজের ছওয়াবের সমান দেয়া হয়। এই মাসে দুর্বৃত্ত শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় যাতে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের নেক কর্মগুলো নষ্ট করতে না পারে। রমজান শরীফের রোজা ইসলামের পঞ্চভিত্তির মধ্যে একটি। এ মাসে রোজা আমাদের ওপর ফরজ বা আবশ্যক। হাদিসে আছে, জান্নাতে ’রাইয়ান’ নামক একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদাররাই প্রবেশ করবে (বুখারী, মুসলিম)। যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে (বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী)। তাই আসুন যারা এখনও রোজা রাখতে পারেন নি, আজ থেকেই এই অঙ্গীকার করি যাতে সামনের রোজাগুলো আর কাজা না হয়। (লেখক: মৎস্য বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)