স্টাফ রিপোর্টার: ‘কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ সদস্য’ এমন শিরোনামে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর পুলিশ কনস্টেবল আবু সাঈদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুই বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে পুলিশের কনস্টেবল আবু সাঈদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে মনিকা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রীকে মারধর করতেন পুলিশ কনস্টেবল আবু সাঈদ। গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে অন্য ছেলের সঙ্গে কথা বলে এ অভিযোগ তুলে গৃহবধূ মনিকা খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে চিকিৎসা না করিয়ে বাসায় আটকে রাখে তার স্বামী। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, আমি তিন দিন ধরে ঢাকায় আছি। তবে বিষয়টি শুনেছি। ইতোমধ্যে আবু সাঈদকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় ফিরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, গৃহবধূর দুই হাত, পা ও শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সেসব জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ বলেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক আছে। ফেসবুকে তারা ম্যাসেঞ্জারে কথা বলে। এসব দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তাই মারধর করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসপি স্যারের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।