কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এবং উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেছেন ১৯ জন। এদের মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩২ শতাংশ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এ হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮২ জন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ২১২ জন বাঁকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে ভারত সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউনের মধ্যেও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। গত দুই সপ্তাহে কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯২ জন। যাদের অধিকাংশের বাড়িই গ্রামে। একই সময়ে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৯ জন। দুই সপ্তাহে জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২১৯ জন। শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা ৯২ জন হলেও বাস্তবে সংখ্যা আরও বেশি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালের অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে রোগীর স্বজনরা ছুটোছুটি করতে থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে প্রেরণ করা সব রোগীরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। ঘণ্টায় ঘণ্টায় করোনা রোগী বাড়তে থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তার-নার্সরা। জ্বর-ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাদের চেম্বারে ভিড় করছেন রোগীরা।