আজ ২৭ রমজান। আজ রমজানের শেষ জুম্মা বা জুমাতুল বিদা। আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, হাদিসে জুমআর দিনকে সপ্তাহের সবচেয়ে উত্তম দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন হাদিসে জুমাতুল বিদা হিসাবে বিশেষ কোন দিনের উল্লেখ না থাকলেও রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বা আখেরী জুমআ হিসেবে দিনটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আজ মসজিদে মসজিদে জুমআর শেষে মুসল্লিরা জাহান্নাম থেকে নাজাতের আশায় মহান আল্লাহর দরবারে কাঁন্না-কাটি ও ফরিয়াদ করবেন। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রায় সব মসজিদেই বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। জুমআ দিনের ফজিলত সম্পর্কে হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, এমন সকল দিন অপেক্ষা যা’তে সূর্য উদয় হয়, জুমআর দিনই হল উত্তম দিন। জুমআর দিনেই হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে , উহাতেই তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয়েছে, উহাতেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে, আর জুমআর দিন ব্যতিত কেয়ামত কায়েম হবে না (মুসলিম)। আর এক রেওয়াতে আছে, জুমআর নামাজ এক জুমআ থেকে অপর জুমআ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের জন্য গোনাহের কাফফারা স্বরুপ। ইবনে মাজাহ শরিফের এক রেওয়াতে নবী করীম (সা.) এরশাদ করেন, জুমআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত দিন। উহা কুরবানীর দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত (মেশকাত)। জুমআর দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, কোন মুসলমান যদি জুমআর দিনে অথবা জুমআর রাতে মারা যায়, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তাকে কবরের ফেতনা হতে রক্ষা করবেন (আহমদ, তিরমিজী, বায়হাকী)। অপর এক হাদিসে এসেছে জুমআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কল্যাণকর যা’ চায় তা’ই পায় (বুখারী, মুসলিম)। তাই আসুন আমরা সকলে এই পবিত্র দিনে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি গোনাহ মাফের দোয়া করি। (লেখক: মৎস্য বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)