আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ভেদামারি গ্রামের মিলনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে প্রথম স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রথম স্ত্রীর বোনের মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়িতে তাকে নানারকম নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় থানায় এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভেদামারি গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে মিলন আলী (৩৫) প্রায় ১৫ বছর আগে পাশর্^বর্তী ঘোলদাড়ি মধুপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন। তাদের ১৫ বছর সংসার জীবনে ২ পুত্র সন্তান আছে। এরই মধ্যে মিলন তার প্রথম স্ত্রীর খালাতো বোনের বাড়ি বড়শলুয়া গ্রামে বেড়াতে যান। মিলন তার খালাতো ভাইরা ভাই প্রবাসী আপুর ওরফে মিরাজের মেয়ে রাবেয়া খাতুনের (১৪) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই মধ্যে রাবেয়া খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মিলন বাড়ি থেকে রাবেয়াকে নিয়ে এসে মৌখিক বিয়ে করেন এবং আলমডাঙ্গা শহরে আনন্দধাম এলাকায় বাসা ভাড়া করে রেখে দেন। পরে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। এ খবর জানাজানি হয়ে পড়লে মিলনের প্রথম স্ত্রী ও রাবেয়ার মা ওই সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করে। পরে রাবেয়াকে তার সন্তানসহ আবারও ভাড়া বাড়িতে তুলে দিয়ে আসে এলাকাবাসী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিলন একটি কাবিন তৈরী করে রাবেয়াকে নিয়ে বাড়িতে তোলেন। এলাকাবাসী তাদের বিয়ের কাগজ দেখতে চাইলে মিলন দুইমাস আগে তৈরী করা বিয়ের কাবিন দেখান। গ্রামবাসী তাদেরকে একঘরে করে দেয়। এরপর থেকে মিলন তার প্রথম স্ত্রী তাসলিমাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে তিনি আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।