আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় অবকাঠামো উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ল্যাব ও প্লাস্টিকের বেঞ্চ প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মসূচি উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, স্থানীয়ভাবে আমাদের যে সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে তার সদ্ব্যব্যবহার করতে হবে। নিজেদের সম্ভাবনাগুলি দক্ষতার সাথে ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ও এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শিক্ষার্থীরা কাঁদতে কাঁদতে নয়, হাসতে হাসতে বিদ্যালয়ে যাবে। তারা স্বতস্ফুর্তভাবে বিদ্যালয়ে যাবে, আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করবে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, প্রাইমারি বিদ্যালয়ের বিল্ডিংগুলিও নানা রঙে সেজেছে। তিনি বলেন, দেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সক্ষমতা বেড়েছে, বেড়েছে জীবনযাত্রার মান। এখন গোটা বিশ্বটাকে বলা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। তাই নতুন প্রজন্মকে এ গ্লোবাল ভিলেজের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে মডেল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। সভাপতির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী। অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল ইসলাম, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফেসিলিটিটর ইউজিডিপি এনায়েতুল্লাহ, ঠিকাদার বাবুল আক্তার দুলাল, প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী, ইউপি সচিব আব্দুস সামাদ, আলমগীর হোসেনস প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে জাইকার অর্থায়নে ১০টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ১১ জোড়া করে বেঞ্চ প্রদান করা হয়। মোট ১১০ জোড়া বেঞ্চের মূল্য ১০ লাখ টাকা। একই দিনে ৮টা ইউনিয়ন পরিষদকে ১টি করে কম্পিউটার ল্যাবের মালামাল প্রদান করা হয়। প্রতিটি ল্যাবকে ৪টি করে কম্পিউটার, ৫টা করে টেবিল, ৫টা করে চেয়ার, ১টা করে মডেম, ১টা করে প্রজেক্টর, ১টা করে প্রজেক্টর স্কিন ও ১টা করে প্রিন্টার প্রদান করা হয়েছে।