শরিফুল ইসলাম রোকন: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের দেয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) পোস্ট দেখে ১ ঘণ্টা পর হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে ফেরত পেলেন শিশুটির মা। গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা থানার সামনে কান্না করতে দেখে শিশুটিকে অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর তার অফিসে নিয়ে যান। পরে শিশুর ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট দেন।
জানাগেছে, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা আসাননগরের মামুন ও তার স্ত্রী চামেলী খাতুন ৫ বছরের মেয়ে জান্নাতুলকে সঙ্গে নিয়ে আলমডাঙ্গা ফাতেমা টাওয়ারে রোগী নিয়ে আসেন। গতকাল দুপুরে শিশুটির মা তার শাশুড়ির নিকট মেয়েকে রেখে রোগীর জন্য আলমডাঙ্গা শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় সুজি রান্না করতে যান। এসময় শিশুটি তার মাকে না পেয়ে টাওয়ার থেকে দাদীকে না বলে রাস্তায় চলে আসে। শিশুটি পথ ভুলে হাটতে হাটতে থানার সামনে দাড়িয়ে কাঁন্না করতে থাকে। শিশুটির কান্না দেখে থানার গেটে ডিউটিরত কন্সটেবল অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরকে বিষয়টি জানান। এসময় অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর শিশুটিকে তার অফিসে নিয়ে আসেন। শিশুটিকে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে তার নাম ও বাবা মার নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। অফিসার ইনচার্জ শিশুটির নাম, বাবা মায়ের নাম ও ছবিসহ আলমডাঙ্গা থানার ফেসবুকে ও সাংবাদিক শরিফুল ইসলামের ফেসবুকে থানার সরকারি মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে পোস্ট দিয়ে দেন। ফেসবুকে পোস্ট দেখেই কিছুক্ষণ পর অফিসার ইনচার্জের নাম্বারে শিশুটির এক আত্মীয় কল দিয়ে শিশুটি তার আত্মীয়ের মেয়ে বলে জানান। পরে শিশুটির মা চামেলী খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরের নিকট থেকে তার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় আলমডাঙ্গা থানার এসআই সনজিত কুমার, এসআই আমিনুল হক, এসআই শামীমা উপস্থিত ছিলেন।