আলমডাঙ্গার রায়সায় শেকলে বাঁধতে ব্যর্থ হয়ে গুলি করে ও ইট ছুড়ে হনুমান হত্যা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ঠা-া মাথায় এয়ারগান দিয়ে গুলি করে ও ইট ছুড়ে একটি হনুমানকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার রায়সা বাজারের মুদিদোকানি হাসিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার বিকেলে শেকল দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে হনুমানটি পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে ওঠে। এ সময় হাসিবুল ইসলাম প্রথমে এয়ারগান দিয়ে গুলি করে ও পরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। অভিযুক্ত হাসিবুল ইসলাম নওলামারী গ্রামের মোহন আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫-১৬দিন পূর্বে আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা বাজারে একটি হনুমান আসে। বাজারের বিভিন্ন দোকানদার শখ করেই হনুমানটিকে পাউরুটি কলা খাওয়াতো। গতকাল বাদ আছর রায়সা বাজারের মুদিব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম শেকল দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে হনুমানটি পাশের কুলগাছে উঠে পড়ে। পরে পাশের এক বাড়ির ছাদে বসে। শেকলে বাঁধতে ব্যর্থ হয়ে হাসিবুল এয়ারগান দিয়ে গুলি করলে আহত অবস্থায় হনুমান আরেকটি ঘরের ছাদে গিয়ে শুয়ে পড়ে। এ সময় হাসিবুল ইট ছুড়ে নির্মমভাবে হনুমানটিকে হত্যা করে। হত্যার পর পার্শ্ববর্তী বিলের ভেতর ফেলে দিয়ে আসে।
রায়সা গ্রামের ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম জানান, হনুমানটিকে নির্মমভাবে গুলি করে ও ইট ছুড়ে হত্যার ঘটনায় রায়সা বাজারের মানুষ মর্মাহত। তারা হাসিবুল ইসলামকে ধিক্কার জানিয়েছে ওই অপকর্মের জন্য।
রায়সা বাজারের শওকত আলী জানান, মুদিদোকানি হাসিবুলের এই নির্মম কাজের জন্য সন্ধ্যায় বাজারে প্রায় দেড়শ মানুষ জড়ো হয়েছিলো। সকলেই মারমুখি হয়ে উঠেছিলো। কেউ কেউ দয়া করে হাসিবুলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
অভিযুক্ত হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি হনুমানটিকে হত্যা করিনি, গাছ থেকে ছাদের ওপর লাফ দিয়ে পড়ে মারা গেছে। আমি হনুমানটিকে মাটি চাপা দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর জানান, হাসিবুলের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগ ওঠায় তাকে আটকের জন্য স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার ম-ল বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments (0)
Add Comment