স্টাফ রিপোর্টার: সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক ২০২২ পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের যুব সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বখতিয়ার হামিদ বিপুলসহ চার ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান। পঞ্চমবারের মতো ওই পদক প্রদান করলো আরটিভি।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও বলরুমে ‘আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক ২০২২ অনুষ্ঠানের জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আরটিভির পর্দায় প্রচার করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী মানুষ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিজ্ঞান চর্চায় অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে থেকে ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ‘আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক ২০২২’ প্রাপ্তরা হলেন বন্যপ্রাণি ও পাখি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখায় চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি যুবসমাজ, শিশু সাহিত্যিক ক্যাটাগরিতে ঝরনা দাশ পুরকায়স্থ, কিশোর-তরুণ সংগঠন ক্যাটাগরিতে মানিকগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিশারি, অদম্য সাহসী তরুণী তামান্না আক্তার নূরা, শিক্ষা বিস্তার ক্যাটাগরিতে মৌলভীবাজারের লিটন গঞ্জু ও অদম্য মেধাবী ক্যাটাগরিতে নাহিয়ান মাহজাবিন পদক পেয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর ‘আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক’ দেয়া হচ্ছে। এবার পঞ্চমবারের মতো এ সম্মাননা দেয়া হলো।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এসএমসির বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম, এসএমসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তসলিম উদ্দিন খান, ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরান্ডা বেকম্যান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ও আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, অভিনেতা আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
২০০৮ সালে বেলগাছি গ্রামের শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ বিপুল ‘পাখির গ্রাম বেলগাছি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করেন। বখতিয়ার হামিদ বিপুল সংগঠনের সভাপতি। পরে বেলগাছি গ্রামকে পাখির অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়। ওই গ্রামে পাখি শিকার নিষিদ্ধ। তারপর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ শুরু করেন তিনি। জেলার বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়া বাঘডাসা, বন বিড়াল, সাপ, পাখিসহ নানা প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসেন বিপুল। আহত প্রাণীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আবারও উন্মুক্ত করে দেন। বন্যপ্রাণীদের আঘাত বা হত্যা করা বন্ধে শুরু করেন জনসচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণাও।
এর আগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২ অনুষ্ঠানে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী/ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে পদক পান বখতিয়ার হামিদ বিপুল।