মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আম্পান ঝড়ে আলমডাঙ্গার অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আধাপাকা ভবনটির ছাউনি উড়ে গেছে আম্পানে। বুধবার রাতের প্রচ- ঝড়ে ছাউনি উড়ে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি সময়মতো মেরামত করতে না পারলে তিন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বসার কোনো জায়গা হবে না। এ জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন এলাকায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয়টি শুরু থেকে অতি সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিগত বছরে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়ে আসছে। বিদ্যালয়টিতে ছয় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ন করছে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২০ মে রাতে প্রলয়ঙ্করী আম্পানের আঘাতে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনের তিনটি শ্রেণিকক্ষের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। ল-ভ- হয়ে যায় টিন, বাঁশ, কাঠসহ শ্রেণিকক্ষগুলোর আসবাবপত্র, অসংখ্য বই ও খাতা। এ মুহূর্তে শ্রেণিকক্ষগুলো মেরামত করা খুবই প্রয়োজন। এর ব্যত্যয় হলে বড় ধরনের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুল হক বুলবুল জানান, ‘ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ওই আধাপাকা ভবনে ক্লাস করে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয় ছুটি রয়েছে; কিন্তু স্কুল খুললেই পাঠদানে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। ভবনটি অনতিবিলম্বে মেরামত করা না গেলে হয়তো কয়েকশ’ ছাত্র-ছাত্রীকে গাছতলায় বসে ক্লাস করতে হবে। আমাদের বিদ্যালয়ের ফান্ডে তেমন কোনো টাকা নেই যা দিয়ে মেরামত করা যাবে। এখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ভবনটি মেরামত করা সম্ভব হবে না।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা ভবনটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ মুহূর্তে বিদ্যালয়টি মেরামত করতে হলে তিন লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। আমি এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তারা বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’