অপেক্ষার উদযাপন শেষে আবারও এলো প্রতীতের মিলন মেলা

স্টাফ রিপোর্টার: শৈশবের সুখস্মৃতি রোমন্থনে বয়সের গ্লানি মুঁছে শুধু তরতাজা হওয়ায় নয়, বন্ধু হয়ে বন্ধুত্বের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যায়ে গঠিত বন্ধু-বান্ধবীদের সংগঠন ‘প্রতীত’ এবারেও আয়োজন করেছে বার্ষিক মিলন মেলা।  করমর্দন কুলোকুলি খানাপিনের পাশাপাশি দিনব্যাপী রকমারি অনুষ্ঠানমালার নাম- আড্ডা।

আগামীকাল শুক্রবার এবারও দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রাঙ্গনে দূরে থাকা কাছে থাকা বন্ধুরা মিলিত হবে।  ১৯৮৬ ভিজে স্কুল ব্যাচকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রতীত ২০১৯এর প্রথম দিনে পূর্ণতা পাওয়ার পর প্রতিবছর অন্তত একবার মিলন মেলার আয়োজন করে।  ভুরিভোজের আয়োজনেই গণ্ডিবদ্ধ নয়, ১০২ বন্ধুর যখন যার কাছে যেমনভাবে ছুটে যাওয়া প্রয়োজন পড়েছে, তখনই প্রতীত হাজির হয়ে বাড়িয়েছে বিষুদ্ধ বন্ধুত্বের হাত।  পবিত্র রমজানে সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, শীতে শীতবস্ত্র তুলে দেয়াসহ জাকাতও প্রদান করে অনেকটা নিয়োমিতভাবে।  ১৩ জনকে নিয়ে গঠিত কার্যকরি কমিটির সভাপতি এলাকার শিক্ষানুরাগী আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পলাশ কুমার আগরওলার সার্বিক প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ী সাজ্জাতুল আলম রাজুসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে বার্ষিক মিলন মেলায় দূর থেকে আসা বন্ধুদের যেমন বরণ করা হয় অকৃত্তিম বন্ধুত্বের অশ্রাব্য (অবশ্যই নিচু স্বরে) বুলি আউড়িয়ে, তেমনই লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত ) আহমেদ ডানিয়েল, বকুল,অসীম, রতন, আমেনা শুভ্র, ইতিসহ সকলের সুচারু সতর্কতায় মিলন মেলার হৃদয় ভরে উঠে বিনম্র ভালবাসায়।  সত্যিকার অর্থে প্রতীত’র প্রাণবন্ত আয়োজন অনুকরনীয় হয়ে দাঁড়ায়।  বন্ধুদের মধ্যে টেন্টু, জিয়া, দিপক, সোহেলসহ যারা নিয়েছে চিরবিদায়, তাদের স্মরণও করা হয় হৃদয় থেকে।  বিদায় বেলায় নোনা জলে ভেজে রুমাল- টিসু।  পড়ে থাকে বাদামের খোসা, ছেড়া কাগজ।  দেবে যাওয়া দূর্বাঘাস নীরবে মাথা উচু করে অপেক্ষা উদযাপনের তাগিদ দেয়। শুরু হয় আবারও দেখা হওয়ার আকুলতা, ব্যাকুলতা। ভর বছর সেলফোনে চলে অপেক্ষার উদযাপন।  বছর জুড়ে অপেক্ষা শেষে আবারও এসেছে প্রতীতের মিলন মেলা।  হৃদয়ের কুয়াড় খুলে হবে আড্ডা।

প্রতীতের পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা।