আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ আলমডাঙ্গায় করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামের কন্যা স্বপ্না খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ও পারকুলা বাজারের চিকিৎসক মুকুল চৌধুরী ঢাকার মহাখালী করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা বিনোদপুর গ্রামের মোমিন হোসেনের স্ত্রী এক সন্তানের মা স্বপ্না খাতুন সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১০ দিন আগে স্বপ্না খাতুন ডামোশ গ্রামে বাপের বাড়ি চলে আসেন। সেখানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রায় ১ সপ্তাহ পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে গত ৩ দিন আইসিইউ ইউনিটে রাখা হয়। স্বপ্না খাতুন দু মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ফলে তার চিকিৎসা বেশ জটিল হয়ে পড়ে। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। মহামারী করোনা মাত্র ২৩ বছরের স্বপ্না খাতুনের জীবন প্রদীপ নিভিয়েই দেয়নি,মাতৃহীন করেছেন তার ৩ বছরের কন্যাশিশুকে।
অন্যদিকে, পারকুলা বাজারের পল্লিচিকিৎসক মীর আব্দুল আওয়াল মুকুল চৌধুরী গত প্রায় ১ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। অবস্থা খারাপ হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকার মহাখালী করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত রবিবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনায় মারা যাওয়া পল্লি চিকিৎসক মুকুল চৌধুরী (৬০) সুতাইল গ্রামের মৃত মীর চাঁদ চৌধুরীর ছেলে।