মসজিদে শিশু বলাৎকারের ঘটনায় মোয়াজ্জিনের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার রায়
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহে শিশু ছাত্রকে (৯) বলাৎকারের দায়ে মো. নাজমুল হোসেন (২৭) নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম গতকাল রোববার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ আসামি মো. নাজমুল হোসেনকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যায়। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এম এম শাহাজাহান মুকুল জানান, মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. নাজমুল হোসেন ২০২৩ সালের ১৫ মে মসজিদের ভেতরে বলাৎকার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মাননীয় আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। অর্থদন্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী শিশুর কল্যাণার্থে ব্যবহার করা হবে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।’ দন্ডিত মো. নাজমুল হোসেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মো. সেলিম ম-লের ছেলে এবং এলাকার একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত আরবি শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ছিলেন। ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি মসজিদটিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত আরবি শিক্ষার ছাত্র ছিলো। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হাসাদহ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. শাহ আলী মিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী /২০২০) এর ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করতে আদালতে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন নাজমুল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে আদালতে বিচারকাজ চলাকালে সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার একমাত্র আসামি নাজমুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের আদেশ দেন বিচারক।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.