চুয়াডাঙ্গায় এনজিও বিষয়ক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
স্টাফ রির্পোটার: চুয়াডাঙ্গায় এনজিও বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাসিক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠ করেন সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান। স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এনজিও রোগীর তালিকা প্রেরণসহ চিকিৎসার পূর্বে সিভিল সার্জনের অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া সে সকল এনজিও চোখের ছানি, প্রসুতি মা এবং শিশুর অপারেশন করার পূর্বেই কোন সার্জন অপারেশন করবেন তা উল্লেখপূর্বক অনুমতি নিতে হবে। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করতে হলে সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হলে গত একমাসে বিভিন্ন এনজিও বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনাতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ করা হয়েছে। গত মাসে বাল্য বিবাহের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। মানবাধিকার ও আইনী সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় বলা হয় লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে একজনকে আইনী সহায়তা দেয়া হয়েছে। বেকার যুবক ও মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ১৫০ জনকে হাঁস চাষের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এনজিও কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের ওপর সংকলন প্রকাশনা দ্রুত শেষ করার কথা বলা হয়। যেসব এনজিও প্রকাশনার জন্য লেখা জমা দেয়নি, তাদেরকে ২-১ দিনের মধ্যে লেখা জমা দেয়ার অনুরোধ করা হয়। মাসিক এনজিও সভার প্রতিবেদন প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। যেসকল এনজিও পর পর ৩ মাস মাসিক মিটিংয়ে অংশ নিবে না, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হবে। গত মাসে ৩৩টি এনজিও প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, ২৯টি এনজিও প্রতিবেদন দাখিল করেনি। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পায়, ঋণের টাকা পরিশোধ না করলে গ্রাহকের গরু, ছাগল কিংবা বাড়ির টিন খুলে নিয়ে যায় অনেক এনজিও। এটা আইনের মধ্যে পড়ে না। প্রতিষ্ঠানের নিয়মের বাইরে গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে পারবেন না। আপনারা লাইসেন্স গ্রহণের সময় ভালো ভালো কথা বলবেন, আর ঋণ আদায়ের সময় করবেন উল্টোটা। অনেক এনজিও ঋণ দেয়ার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক অথবা এ্যাডভান্স চেক রেখে দেন। তাকে মামলায় বেকায়দায় ফেলার জন্য এটা আপনারা করতে পারেন না। ঋণ গ্রহণের পর এসব কারণে পরিবারে অশান্তি তৈরী হয়। এর থেকে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়েভের উপ-পরিচালক জহির রায়হান, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. মানিক আকবর, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.