ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় রাশেদ খান

দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। উপদেষ্টাদের কেউ কেউ গণহত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শেল্টার দিচ্ছেন। আদালত থেকে উপদেষ্টাদের ইশারায় ডামি এমপিরা জামিন পেয়েছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য টিকে আছে। তাই দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, হঠাৎ করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এখন অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবি উঠছে। এরা বিগত ১৭ বছরে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা একবারও বলেনি। বিদেশি মদদে তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে গণহত্যাকারী হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু ২৪-এর জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলগুলো সেই সুযোগ দেবে না। রাশেদ খান বলেন, আমরা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেব না। গণহত্যাকারী, দেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে আর জায়গা দেয়া হবে না। ২৪-এর বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ও অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়েই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। শেখ মুজিব বাহাত্তরে বাকশাল কায়েম করে গণহত্যা চালিয়েছিলেন। হাসিনাও তার বাবার মতো একইভাবে গণহত্যা চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছেন। কাজেই গণহত্যাকারী হাসিনার ফাঁসি দিতেই হবে। আওয়ামী লীগ ও হাসিনার ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। আওয়ামী লীগের দোসরদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ডামি এমপিরা এখন নানা জায়গায় অর্থ বিলিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেক নেতা মঞ্চে বড় বড় কথা বললেও তলেতলে আওয়ামী ডামি এমপিদের অর্থ নিয়ে তৃণমূলে গিয়ে রাজনীতি করছেন। ডামি এমপি ও আওয়ামী দোসরদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। গণঅধিকার পরিষদের ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির জেলা সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুল হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী প্রমুখ।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More