চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

আদালতে বাদীর আসা-যাওয়ার ভোগান্তি কমিয়ে আনার তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রধানত উদ্দেশ্য হলো আইনের বিভিন্ন ধারার এবং সেটা যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা। আমরা যদি সকলে আইন বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারি তাহলে মামলার কাজ এগিয়ে নেয়া সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, আদালতে বাদীর আসা-যাওয়ার ভোগান্তি কমিয়ে আনতে আদালতে আসা-যাওয়ার পথে এবং আদালত চত্বরে সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ইনকোয়ারি বা ইনভেস্টিগেশন এর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, সময়মত মেডিকেল সার্টিফিকেট/ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, ফরেনসিক, ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তিসহ যেকোনো ঘটনার রিপোর্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেয়া উচিত। এসব রিপোর্ট যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে, বিচার কার্য পরিচালনা করে রায় দেয়া তত দ্রুত সম্ভব হবে আদালতের। একই সাথে তিনি বলেন, সমন জারী, গ্রেফতারী, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা (পিএন্ডএ) তামিল, দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল, পুলিশ কর্তৃক মামলার সাক্ষী উপস্থিতকরণ, হুলিয়া জারী এবং সম্পত্তি জব্দ করার বিষয়ে দ্রুত প্রতিবেদন প্রাপ্তি, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আদালত চত্বরের নিরাপত্তা বিধান, সময়মত মালখানা হতে আদালতে আলামত উপস্থাপন, বিচারাধীন আসামিদের জেলহাজত হতে আদালতে সময়মত উপস্থিতকরণ, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেসির মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গ্রহণীয় পদক্ষেপ সমূহ, মামলায় জব্দকৃত আলামতের নিষ্পত্তি, ধবংসের ব্যবস্থাকরণ, নিলাম বিক্রয়ের বিষয়, পুলিশ রিমান্ড ও ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের ক্ষেত্রে মাননীয় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালন হচ্ছে কি না তা তদারকি, পারিবারিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রবেশন বিষয়ে গ্রহণীয় পদক্ষেপ সমূহ বিষয়ে আলোচনা হয়। চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, ঝিনাইদহের উপ অধিনায়ক ওবায়েদুর রহমান, ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন চুয়াডাঙ্গার সরকারি পরিচালক মো. হায়দার আলী, সিভিল সার্জন’র প্রতিনিধি ডা. মো. আওলিয়ার রহমান, সিনিয়র সহকারী জজ দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলি নাজনীন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মারুফ সারোয়ার বাবু, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এস,এম শাহজাহান মুকুল, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান আলী, চুয়াডাঙ্গা জেল সুপার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মীর মো. মনিরুল ইসলাম, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গার সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার মো. ছানোয়ার হোসেন, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গার শহর ও যানবাহনের পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম, দর্শনা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির, জীবননগর থানা পুলিশ পরিদর্শক মো. আতিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ পরিদর্শক মু. মাসুদুর রহমান এবং ঝিনাইদহ পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মো. রোকনুজ্জামান খান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More