স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ। যা শিগগিরই কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ফরিদপুর, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৩৬ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মরসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও শনিবার ও রোববার সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। অন্যদিকে এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যানচালকরা। সারাদিন রোজা রেখে রোদে কাজ করা তাদের জন্য চরম কষ্টের হয়ে ওঠেছে। স্থানীয় ভ্যানচালক সিরাজ আলী বলেন, ‘রোজা রেখে এই প্রচ- রোদে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর। মুখ শুকিয়ে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু কাজ তো করতেই হবে, না হলে ইফতারের খরচ কীভাবে উঠবে?’ রাজমিস্ত্রি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গরমে কাজ করা এমনিতেই কঠিন, তার ওপর রোজা রাখায় শরীর আরও ক্লান্ত হয়ে যায়। দুপুরের দিকে মনে হয় মাথার ওপর আগুন জ্বলছে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে রোজা রাখার শক্তি পাচ্ছি।’ চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যহত রয়েছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জেলার সর্ব্বোচ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.