কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরচ্যারী প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতলো চুয়াডাঙ্গার কিউট কন্যা হাবিবা ও স্বর্ণ জিতলো ইতি

ইসলাম রকিব: কিউট আন্তর্জাতিক নারীদিবস আরচ্যারী প্রতিযোগিতায় সিলভার পদক জিতলো চুয়াডাঙ্গার কিউট কন্যা উম্মে হাবিবা। হাবিবা চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। হাবিবা চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার হারুন অর রশিদ ও শাহিনা খাতুন দম্পতির কন্যা। তার এই অসামান্য অর্জনে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস জাহান ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক আইরিন ইসলাম শুভ কামনা জানিয়েছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার কৃতি নারী ইতি বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাবের হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।
বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (কিউট) এর পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গত ০৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুরের টঙ্গিস্থ আরচ্যারী ট্রেনিং সেন্টারে ‘কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরচ্যারী টুর্নামেন্ট-২০২৫’ শুরু হয়। এ বছর ৩য় বারের মতো ফেডারেশন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিকেএসপি, সার্ভিসেস সংস্থা ও ক্লাব দল থেকে ৬৮জন মহিলা আরচ্যারী ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। খেলা শেষে টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ওই বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম (এনডিসি), মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কিউটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, সিটি গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রুবাইয়েত আহমেদ, বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত মজুমদার ডলার, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ। ‘এ’ এবং ‘বি’ ২টি ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ ডিভিশনে ৭০ মিটার দূরত্বে ১৯ জন, কম্পাউন্ড ডিভিশনে ৫০ মিটার দূরত্বে ১৬ জন এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ ডিভিশনে ৪০ মিটার দূরত্বে ১৭ জন ও ১৮ মিটার দূরত্বে ১৬জন আরচ্যারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলায় রিকার্ভ ডিভিশনে বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাবের নারী আরচ্যার চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান ইতি খাতুন গোল্ড, বিকেএসপি’র সোনালী রায় সিলভার ও আরভী আক্তার ব্রোঞ্জ মেডেল জয়লাভ করেন। কম্পাউন্ড ডিভিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বন্যা আক্তার গোল্ড ও পুষ্পিতা জামান সিলভার এবং বাংলাদেশ আনসারের উম্মে সলিমা আক্তার বৃষ্টি ব্রোঞ্জ মেডেল জয়লাভ করেন।
‘বি’ ক্যাটাগরির খেলায় রিকার্ভ ডিভিশনে ৪০ মিটার দূরত্বে বিকেএসপি’র জান্নাতুল নাইমা গোল্ড, তৈয়্যবা আক্তার সিলভার এবং অনামিকা ব্রোঞ্জ মেডেল জয়লাভ করেন। এছাড়া ১৮ মিটার দূরত্বে স্পাইডার আরচ্যারী ক্লাবের ইসরাত জাহান টুলনা গোল্ড, চুয়াডাঙ্গা আরচ্যারী ক্লাবের উম্মে হাবিবা সিলভার এবং ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার রাজিয়া আক্তার মিম ব্রোঞ্জ মেডেল জয়লাভ করেন। হাবিবার এ ব্রোঞ্জ এর মধ্যদিয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতার র‌্যাংকিং তালিকায় চুয়াডাঙ্গার অবস্থান দাঁড়ালো ৫। পদক তালিকা শীর্ষে রয়েছে বিকেএসপি, বাংলাদেশ বিমান, স্পাইডার আরর্চারী ক্লাব, বাংলাদেশ পুলিশ আরচারী ক্লাব ও চুয়াডাঙ্গা আরচারী ক্লাব। এছাড়া ষষ্ঠ স্থানে ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ আনসার। উম্মে হাবিবা তার একান্ত সাক্ষাৎকার বলেন, আরচ্যারী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ তথা চুয়াডাঙ্গার মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More