খালেদা জিয়া ফিরতে পারেন ঈদের পর

স্টাফ রিপোর্টার: যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় পুত্রবধূ ও নাতনিদের যতেœ ভালো আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি প্রধান লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’-এর লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিয়ম করে চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে দেখে আসছেন। চিকিৎসকরা যেদিন তাকে দেশে ফেরার পরামর্শ দেবেন তারপরই দেশে আসবেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরতে পারেন। তবে দেশে ফেরার তারিখ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পূর্ণ বিশ্রামে আছেন। ছেলে তারেক রহমানের কিংস্টনের বাড়ির নিচতলাতেই থাকছেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরে সময় কাটছেন তার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, লন্ডনে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডিসহ মার্কিন চিকিৎসকরাও ম্যাডামের দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের ডাক্তারদের দেয়া চিকিৎসারও সুনাম করেছেন। লন্ডনে পারিবারিক পরিবেশে সন্তান, দুই পুত্রবধূ ও নাতনিদের কাছে পেয়ে মানসিকভাবে ভালো থাকায় তার শারীরিক অবস্থাও ভালো আছে, স্থিতিশীল আছে। মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয়া হয় সেগুলো করানো হচ্ছে। ডাক্তাররা তাকে বাসায় গিয়ে দেখছেন। বাসায় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শর্মিলা রহমান ও তিন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যতœ নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
লন্ডনে যাওয়ার পর সরাসরি বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ঘরে স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর ফুরসত মেলেনি খালেদা জিয়ার। পুত্র, পুত্রবধূ, নাতনিরা হাসপাতালে তাকে সময় দিতেন। ঘরে ফেরার পর সময় কাটছে পারিবারিক আবহে। খাচ্ছেন ঘরের তৈরি খাবার। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তার দেখভাল করছেন। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শিথিও থাকছেন কাছাকাছি। তিনিও শাশুড়ির দেখভাল করছেন। তিন নাতনিকে কাছে পেয়ে অনেকটা নির্ভার খালেদা জিয়া। মানসিকভাবেও আছেন উজ্জীবিত। সূত্রটি জানায়, কোনো শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজনে আবার তাকে হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।
সূত্র জানায়, দেশের মতো নিয়মিত ওষুধের মাধ্যমেই তার লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস, প্রেশার, আর্থরাইটিস ও হার্টের চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আপাতত তার লিভার প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা নেই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More