চুয়াডাঙ্গা জেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয়সভায় জেলা প্রশাসক

আত্মহত্যার পাশাপাশি তালাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে সরকারি ও বেসরকারিভাবে এবং মসজিদ মাদরাসাগুলোতে আত্মহত্যা প্রতিরোধে ব্যাপক হারে প্রচারণা চালানোর ফলে আত্মহত্যা কিছুটা কমেছে। একজন মানুষ আত্মহত্যার ফলে কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই নয়, এর প্রভাব পড়ছে সমগ্র রাষ্ট্রে। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি জানতাম না চুয়াডাঙ্গা জেলায় এত পরিমাণ তালাক হয়। জেলা রেজিস্ট্রারের তথ্যমতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় তালাকের হার ৭১%। যাহা আত্মহত্যার চাইতেও আরো ভয়াবহ। তালাকের কারণে শুধু নারীদের জীবনই দুর্বিসহ হয় না, পুরুষদের জীবনও দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে নারী পুরুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেই। সমাজে মারাত্মক অশান্তি সৃষ্টি হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় কেন এত পরিমাণ তালাক হয় অনুসন্ধান করে এর কারণ বের করতে হবে। যেহেতু এনজিও রা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে থাকে। অনুসন্ধান কাজটি এনজিওদের পক্ষে সহজ হবে। এ জন্য অনুসন্ধানের জন্য চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত এনজিওদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মিজানুর রহমান। ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি ম্যাক্সিমিলিয়ন মানিক রুগা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী জহির রায়হান, পাস এর নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, প্রত্যাশার সমন্বয়কারী ইউনুচ আলি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More