ধূমপান করায় স্বামীর ওপর অভিমান : ফাঁস নিলো কিশোরী বধূ

আলমডাঙ্গায় বাল্যবিয়ের জের : দোকানে যাওয়ায় নিয়ে মনোমালিন্য

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর ওপর অভিমান করে মুন্নি খাতুন (১৩) নামের কিশোরী নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মুন্নি খাতুনের মরদেহ নিজ পৈতৃক গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় এই কিশোরী নববধূ মুন্নি খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুন্নিকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদী হাসপাতাল) নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুন্নি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের চা’দোকানি বুলবুলির মেয়ে। গত সপ্তাহ খানেক আগে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের ডেকোরেশন মিস্ত্রী নাইম হাসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানা গেছে। মুন্নির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার স্থানীয় ওসমানপুর পুলিশ ক্যম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুন্নির বয়স ১২ কিংবা ১৩ বছর হবে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কিছুদিন আগে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়। শনিবার মুন্নির চাচাতো দাদি মারা গেলে স্বামী নাইম হাসানকে নিয়ে দেখতে যায়। স্বামী নাইম হাসানের ধুমপানের অভ্যাস থাকায় পাশ্ববর্তী দোকানে যেতে চাওয়ায় মুন্নি খাতুন নিষেধ করে এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়। স্ত্রীর নিষেধ উপেক্ষা করে দোকানে যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে বিকেলে সেখান থেকে বাবার বাড়ি পৌঁছে গলায় ফাঁস দেয় মুন্নি।
এসআই আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নেয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়। দুই পরিবারের কোন অভিযোগ ছিলো না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে দুজনের বিয়ে হয়। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মুন্নির বয়স কম, ১৩ বছর হবে। মেয়েটির এক স্বজন মারা গেলে সেখানে গিয়ে স্বামী ধূমপান করায় দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকাল ১০টায় জানাজার নামাজ শেষে বড়বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া করবস্থানে মুন্নির মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More