আলমডাঙ্গায় বিএনপির পদযাত্রায় হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণ মামলায় তিনজন গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় বিএনপির পদযাত্রায় হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রেফতাকৃতরা হলেন-আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোকাদ্দেস আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০২৩ সালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও বোমা হামলা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোকাদ্দেস আলীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে, আহসান উল্লাহ কালিদাসপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে ও মোকাদ্দেস আলী ভোগাইল বগাদী গ্রামের মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে। তাদেরকে ২০২৩ সালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও বোমা হামলা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসূচি থাকায় মহাসিন আলীসহ ৩০/৪০জন বিএনপি নেতাকর্মী পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার মোড়ে পৌঁছুলে আওয়ামী লীগের উশৃঙ্খল নেতা-কর্মিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মারপিট করে ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ৫টি মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহাসীন আলী বাদী হয়ে ৯ নভেম্বর রাতে ৪২জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০/৬০জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম ও আহসান উল্লাহ রাজনীতির পাশাপাশি ঠিকাদারি করেন। তবে, যুবলীগ নেতা মোকাদ্দেস আলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর এন্তার অভিযোগ রয়েছে। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা থাকা অমূলক নয় বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More