আলমডাঙ্গার বিএনপির মতবিনিময়সভায় শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপি টিকে থাকলে এদেশের গণতন্ত্র টিকে থাকবে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ‘বিএনপি টিকে থাকলে এদেশের দণতন্ত্র টিকে থাকবে, এই দেশকে কেউ দখল করতে পারবে না। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে যিনি নিজেকে নির্বাচিত এমপি দাবি করে সে আমার কাছে নির্বাচনে হারছে, আমার পরে যারা এসে দাঁড়াইছে তাদের কাছেও হারছে। তারা হারছে কেনো, চুরি করার কারণে। মানুষের ক্ষতি, লুটপাট করার জন্য। বিএনপি লুটপাটকারী দল না। বিএনপি চাঁদাবাজির দল না। বিএনপি গণমানুষের দল। গণতন্ত্র বিশ্বাসী শহীদ জিয়ার আদর্শের দল’। বিএনপি টিকে থাকলে এদেশের গণতন্ত্র টিকে থাকবে, এই দেশকে কেউ দখল করতে পারবে না। আলমডাঙ্গার মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজি মোড় এলাকায় আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলুর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি করে তাদের ধরে পুলিশে তুলে দেন। এরা বিএনপি করে না। বিএনপি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছেন, খালেদা জিয়া এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তারেক রহমান গত ১৮ বছর ধরে এই দলকে সুসংগঠিত করে নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। এখন অনেকে নিজেকে বিএনপি দাবি করছে। বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য কোন রাজনৈতিক দল নিজের জীবন বিপন্ন করে থাকে সে দলের নাম বিএনপি। বিএনপি যদি দাঁড়িয়ে থাকে, টিকে থাকে তাহলে তো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে। বাংলাদেশকে কেউ দখল করতে পারবে না’। দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আল্লাহ রক্ষা করেছে। প্রধানমন্ত্রী দাবিদার (শেখ হাসিনা) আরেক প্রধানমন্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) উদ্দেশ্য করে বলেন উনি মরে না কেন’। এত অশ্লীল নিম্নমানের মানুষ তিনি, তাকে তাড়ানো ছাড়া পথ ছিলো না। এখন আসল জায়গায় পড়েছে। কেউ কেউ বলে তিনি শ্বশুর বাড়ি গেছেন। আওয়ামী লীগের আর কোন ভবিষ্যৎ নেই।’ বিএনপির শীর্ষ এই নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা সাধারণত চোরদের ধরে করেন, মারপিট করে ছেড়ে দেন বা পুলিশে দেন। আর প্রধানমন্ত্রী দাবিদার শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের লোকজন এত চোর, এত চুরি করেছেন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চুরি করে ধ্বংস করে এদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। পালানো ছাড়া তাদের আর উপায় ছিলো না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাদের পরিবারের এক সদস্য ছিলো সেও চোর। চোরের অপবাদে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন’।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস. কে সাদী, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক সদস্য আবু জাফর সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলা সেলিম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখারুজ্জামান লুডু, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. আলা উদ্দিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ^াস মিল্টু, মাগরিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, পৌর কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সাবেক বাড়াদি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মধ্যে মহিনুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল ওহাব মাস্টার, ইউনুস আলী, আব্দুল হালিম, তোজাম্মেল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে জমির উদ্দিন, সাহিবুল হক সন্টু, আসাদুজ্জামান রিমন, আক্তারুজ্জামান হাবলু, হাবিবুর রহমান, ডা. আক্তারুজ্জামান, আব্দুল হান্নান, মফিজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রহিদুজ্জামান রহিত, শরিফুল ইসলাম মেম্বার, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফারুকুজ্জামান ফারুক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জেড এম তৌফিক আজিজ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল রানা, রাসেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিঠু বিশ^াস, উপজেলা যুবদল নেতা গাউসুল কাওনাইন সুষম, হাসান, মিশকা, আব্দুস সালাম, সুলতানুল আরেফিন তাইফু, সাদ্দাম, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জালাল, মহাবুল মেম্বার, চিনির উদ্দিন, লিয়াকত আলী, রশিদুল ইসলাম, সিতাব উদ্দিন, আব্দুল মালেক, ওয়াহেদ, আশরাফুল ইসলাম ডালিম, সুন্নত আলী, জাইদুল, শমসের আলী, পান্না চৌধুরী, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সামিউল হাসান সানী, উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাগর, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক লিখন, ছাত্রদল নেতা রাশেদ, সবুজ, সুমন, চপল, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More