জীবননগরে কলেজে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, শিরোনামে আপত্তিকর স্লোগান প্রদর্শিত হওয়ার ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক ফিরোজ আহমেদকে। গত শনিবার সন্ধ্যায় জীবননগর আদর্শ সরকারি ডিগ্রি মহিলা কলেজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, প্রদর্শিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ, ডিবি পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পূর্বে উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভংঙ্কর রুপে ফিরবে, এমন লেখা প্রদর্শিত হয়। তার পূর্বে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের ডিসপ্লে বোর্ডে এ সংক্রান্ত লেখা প্রথম প্রদর্শিত হয়। এমন ঘটনায় যে সকল কলেজ ও স্কুলে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে ওই সকল কলেজ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অজানা আতঙ্কে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার লক্ষ্মীপুরে জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ অবস্থিত। গত দুই বছর পূর্বে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে ডিগ্রি কলেজে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড সরবরাহ করা হয়। কলেজের নাম ও সময়সহ বিভিন্ন বিষয় ডিসপ্লে বোর্ডটিতে প্রদর্শিত হয়ে আসছে। শনিবার সন্ধ্যার সময় কলেজের ওই ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা প্রদর্শিত হতে থাকে। এলাকাবাসী এমন লেখা দেখে বিস্মিত হন। সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির। এমন অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনসহ পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। ওসি মামুন হোসেন বিশ^াস, চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ডিসপ্লে বোর্ডটি বন্ধ করে দেন।
সংশ্লিষ্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম জানান, ডিসপ্লে বোর্ডটি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছর পূর্বে কলেজে সরবরাহ করে। এটি তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীনের নির্দেশে থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ^াস ও চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্ভারটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা আমাদের জানা নেয় বলে জানান তিনি। অধ্যক্ষ জানান, ইউএনও’র নির্দেশে কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আহমেদকে আহ্বায়ক করে গতকাল রোববার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ওই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান অধ্যক্ষ।
এদিকে একের পর এক ডিজিটাল ডিসপ্লেতে এমন স্পর্শকাতর লেখা প্রদর্শিত হতে থাকাই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে যে সকল স্কুল ও কলেজে ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More