এবার জীবননগরে কলেজের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ : উপজেলা জুড়ে তোলপাড়
জীবননগর ব্যুরো: এবার জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে এ লেখা ভেসে উঠলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও কলেজের অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ডিসপ্লে বোর্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এ বোর্ডটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সেখান থেকেই এটি প্রচার করা হয়েছে বলে প্রাধমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর পূর্বে আন্দুলবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি লেখা ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শিত হয়। তা তদন্তাধীন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার লক্ষ্মীপুরে জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ অবস্থিত। গত কয়েক বছর পূর্বে ডিগ্রি কলেজে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড সরবরাহ করা হয়। কলেজের নাম ও সময় ডিসপ্লে বোর্ডটিতে প্রদর্শিত হয়ে আসছে। গতকাল সন্ধ্যার সময় কলেজের ওই ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। এলাকাবাসী এমন লেখা দেকে বিস্মিত হন। সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনসহ পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম জানান, কলেজের সার্ভারে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লেখাটি হঠাৎ মাগরিবের নামাজের আগে ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা দেখেই মোবাইল ফোনে জানালে দ্রুত বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীনের নির্দেশে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ^াস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্ভারটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু এটা কিভাবে হলো এটা আমাদের জানা নেয়। তিনি জানান, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডটি সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের ধারণা সেখান থেকেই এটি করা হতে পারে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। জীবননগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ সংগঠনের নাম কীভাবে ভেসে উঠে এটা আমাদের জানা নেই। তবে এটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, খবর পাওয়ামাত্র আমরা কলেজে যায়। সেখানে গিয়ে সাইনবোর্ডটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.