শৈত্যপ্রবাহ কমছে : আজ থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি কমে আসতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ১০ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গতকাল শনিবার দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিলো। আজ রোববার থেকে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি আরও কমবে। তবে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বা এরপর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করতে পারে। অধিদপ্তর বলছে, পঞ্চগড়, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার ও যশোরে এই শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার ওইখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিলো এই মরসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য জেলাগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদি কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি কমতে শুরু করেছে। রোববার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে আগামী ১৫ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় শীতার্ত নারী পুরুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরের পৌর মুক্তমঞ্চে প্রায় শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর সোহেল রানা, ফুটবলার মিলন বিশ^াস, চুয়াডাঙ্গা ডেভলপমেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, ভলান্টিয়ার্স আহসান সাকিব, আব্দুল্লাহ বিশ^াস, রাতুল হাসান, সিফাত হোসেন, আকাশ আহম্মেদ, আবু সাইদ, ইমন হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়োকান্দি গ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে হাড়োকান্দি গ্রামে জনতা ব্যাংক পিএলসি সৌজন্যে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাড়োকান্দি গ্রামের মৃত ডা. আনোয়ার আলীর ছেলে জনতা ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ড. মো. আব্দুস সবুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনতা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা এরিয়া অফিসের এজিএম মো. আশরাফুজ্জামান, জনতা ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা প্রধান শাখার ম্যানেজার এসপিও সরোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এর আগে জনতা ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ড. মো. আব্দুস সবুর হাড়োকান্দি গ্রামের পৌঁছুলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে শীতার্ত অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। উপজেলার মনোহরপুর আবাসন প্রকল্প ও পাথিলা এলাকার হতদরিদ্রদের বাড়িতে পৌঁছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন এ শীতবস্ত্র দরিদ্রদের শরীরে জড়িয়ে দেন। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন সন্ধ্যায় উপজেলার মনোহরপুর আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে হাজির হন। এ সময় তিনি ওই প্রকল্পের বাসিন্দা পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৭০টি কম্বল বিতরণ করেন। একই সময় তিনি উপজেলার পাথিলা গ্রামে মাটির তৈরি ঝুপড়ি ঘরে বসবাসকারী বৃদ্ধা কুলছুম বেগমের বাড়িতে উপস্থিত হন। তাকেসহ তিনজনে শরীরে কম্বল পরিয়ে দেন। এছাড়াও পুরাতন তেঁতুলিয়া সড়কের ধারে বসবাসকারী অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করেন। হতদরিদ্রদের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে ইউএনও তার সঙ্গে ছিলেন।
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আল মাদরাসাতুল আরাবিয়া হযরত আলী (রা.) মাদরাসার ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছে সদর উদ্দিন বিশ^াস ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় মাদরাসাটির মাঠে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সদর উদ্দিন বিশ^াস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক শিপলু জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদরাসাটির শিক্ষক মুফতি মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম, মোহতামিম নজির আহমেদসহ মাদরাসাটির অন্য শিক্ষকরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More