স্টাফ রিপোর্টার: ‘৮ তারিখে কনে থাকবেন? ৮ তারিখে কোথায় যাবেন? ৮ তারিখে কিন্তু আমার এলাকায় আপনার থাকতে হবে। আপনি যদি আমার এলাকার সন্তান হন, আপনার সঙ্গে কিন্তু দেখা হবে। এমন কিছু কইরেন না যেন, ৮ তারিখের পরে আপনার সঙ্গে আমার কথা বন্ধ হয়ে যায়।’ সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে অপহরণচেষ্টা মামলায় ২৬ ডিসেম্বর জামিনে কারামুক্ত হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (মানিক) এলাকায় ফিরে নিজ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক পথসভায় এমন বক্তব্য দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গত ১১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে গত রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের নামে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। গত ২৪ ডিসেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রতিনিধি আব্দুল মালেক বাদী হয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থক কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিককে (৪০) প্রধান আসামি করে মোট ২২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় ১০০-১২০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামানসহ এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এরপরই জামিনে মুক্তির পর এলাকায় ফিরে ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক এক পথসভায় তিনি ওই বক্তব্য দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিলো ১৮১টি। ভোট পড়ে ৩৪ শতাংশ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.