স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সোমবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনো জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। একই সঙ্গে রাজনীতিও আর করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বলেছেন, কোটি কোটি টাকা নিয়ে যারা মাঠে নেমেছেন তাদের সঙ্গে মোকাবেলা করার সামর্থ্য আমার নেই।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এ আসনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকা থেমে যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ার নিজবাড়ি থেকে ঘোষণা দেন তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিন প্রার্থী কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা ভোটের মাঠে কোটি কোটি টাকা ছড়াচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আমি প্রচারে পেরে দিচ্ছি না। প্রতিদিন নির্বাচনি এলাকায় যখন প্রচারে নামি আমার কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি কোথায় পাব এত টাকা। আমাদের নেতৃবৃন্দ আমাদের কোনো খোঁজখবর রাখেন না। মজিবুল হক চুন্নু ও জিএম কাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তারা তাদের নিজ নিজ স্বার্থে বিভোর। আমাদের বা দলের কথা তারা ভাবছেন না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। একই সঙ্গে রাজনীতিও আর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, অন্যান্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও এমএ রাজ্জাক খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এম শহিদুর রহমান।
পূর্ববর্তী পোস্ট
ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে স্মার্ট ও আধুনিক চুয়াডাঙ্গা গড়তে সহায়তা করুন
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.