বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র রুখে আবারো নৌকায় ভোট দিন
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাজি আলী আজগার টগর ছুটছেন নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায়। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের সাথে করছেন কুশল বিনিময়, চাচ্ছেন দোয়া ও ভোট। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দিনভর নির্বাচনি এলাকার জীবনগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনি গণসংযোগ করেছেন এমপি আলী আজগার টগর। গণসংযোগকালে এমপি টগর বলেন-দীর্ঘ ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় পার্টি সরকার। বিএনপি-জামায়াত সরকার, ধর্মের নাম ভাঙিয়ে দেশবাসীকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে নিজের আখের গুছিয়েছিলো। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিলো তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো সুসংগঠিত হয়েছিলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ চারবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। চারবারে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। গোটা বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ যেমন নিরক্ষর মুক্ত, তেমনি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশ থেকে নির্মূল করা হয়েছে সন্ত্রাস ও মাদক। দুর্নীতি দুরিকরণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্যগতিতে। এ সরকারের শাসনামলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে শতভাগ। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, ব্রিজ-কালভাটসহ সর্বস্থরে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। শেখ হাসিনা সরকার মানেই উন্নয়নের সরকার, গরিব, দুঃখী মেহনিত মানুষের সরকার। অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে দেশে সকল প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও শিশু ভাতাসহ অসংখ্যক ভাতা প্রদান করছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের উন্নয়নের কথা ভাবে। অতীতে কোনো সরকার প্রতবন্ধীদের কথা ভাবেনি, গর্ভবতী নারীদের নিয়ে চিন্তা করেনি, গরিব দুঃখী শিশুদের পুষ্টির কথা যেমন ভাবেনি, তেমনি অবহেলিত বয়স্ক বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের চিন্তাও তাদের ছিলোনা। এ সরকার অসাধ্যকে সাধ্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মিথ্যাবাদী, ঠক, প্রতারক, স্বার্থবাদী ও বেঈমান বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশে এখন আর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, খুন, গুম, ডাকাতি, অপহরণ, চাদাবাজি নেই বিধায় মানুষ এখন শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারে। শান্তিপ্রিয় মানুষ আর অশান্তি চায়না বলেই আওয়ামী লীগের পতাকাতলেই রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমেই দেশবাসী নৌকা প্রতীক বিজয়ী করে আবারো প্রমাণ দেবে আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা। আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের ভাই, আপনাদেরই ছেলে তাই এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছি এবং ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর দাবি জানাচ্ছি। তাই নৌকা প্রতীকে ভোট দিন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনে সহায়তা করুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, কেরুজ চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত এডিএম শেখ শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
আলমডাঙ্গায় নির্বাচনি জনসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.