স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামের সাধারণ মানুষকে একাধিক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের মেয়ে সাগরিকা খাতুনের বিরুদ্ধে। পান থেকে চুন খসলেই গ্রামের যে কারো নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বসেন ওই নারী। সাগরিকার মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে ইতিমধ্যে নিঃস্ব হয়েছেন সাগরিকার ১ম স্বামী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের বড়মিয়ার ছেলে শাহাজামাল ও দ্বিতীয় স্বামী বোয়ালিয়া গ্রামের রিকাত আলীর ছেলে লিটন। সাগরিকার বিচার সালিশ করে বিপাকে পড়ছেন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মামলাবাজ সাগরিকার মিথ্যা মামলার হাত থেকে তারাও রেহায় পায়নি। সাগরিকার মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে গতকাল রোববার বিকেলে গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্ভুক্ত নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের আতিয়ার রহমানের মেয়ে সাগরিকা খাতুন গ্রামের সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তাদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। সেই সাথে সাগরিকার পারিবারিক বিষয়ে সালিশ বৈঠক করে বর্তমানে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের লিপন, আকবারী, রাজিব, রবিউলসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন সাগরিকা খাতুন। মামলাবাজ সাগরিকা তার ২য় স্বামী লিটন ও দেবর লিপন ও একই গ্রামের রবিউল এর নামে চুয়াডাঙ্গা আদালতে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে গত ১১ জুন ২০২৩ ইং তারিখে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মামলা গুলো মীমাংসার উদ্যোগ নেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন সহ বোয়ালিয়া গ্রামের মন্ডল মাতব্বররা। সেদিন গ্রাম আদালতে বসে সাগরিকা কতৃক দায়েরকৃত মামলা গুলো আদালত থেকে তুলে নেয়া ও ভবিষ্যতে কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে ২য় স্বামী লিটনের নিকট থেকে নগদ ১,৪০,০০০/-(এক লাখ চল্লিশ হাজার) টাকা ও মামলা তুলে নেওয়ার খরচ বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা লিখিতভাবে গ্রহণ করেন। কিন্ত পরবর্তীতে মামলাবাজ সাগরিকা খাতুন মামলাগুলো তুলে না নিয়ে আপোষ মিমাংশার সময় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি শুরু করে। বোয়ালিয়া গ্রামের মন্ডল ও হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, সাগরিকার মিথ্যা মামলায় তার সাবেক দুই স্বামীসহ তাদের পরিবারের লোকজন তো ইতিপূর্বে একাধিকবার জেল হাজত খেটেছে। বর্তমানে পান থেকে চুন খসলেই গ্রামের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আদালত কিংবা থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। মামলাবাজ সাগরিকার মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ থেকে অব্যাহিত সহ সাগরিকার শাস্তির দাবিতে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর গণস্বাক্ষর সহ তার মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া গ্রামবাসীর আয়োজনে আজ স্থানীয় আখ সেন্টারে মাবনন্ধনের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.