স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক প্রার্থী। অনেকে আবার শোডাউন করছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন জনসভা ও সংবর্ধনার মতো অনুষ্ঠানে। এমন অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধেও। মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় লাগাম টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়। এ নির্বাচনে দুই হাজার ৭১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৯টি রাজনৈতিক দল। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে অনেক সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র হিসেবেও নির্বাচন করছেন। ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা-২০ আসনের প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেনকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় শুক্রবার শোকজ করেছেন এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি হরিদাস কুমার। একই আসনের আরেক সংসদ-সদস্য খান মোহাম্মদ ইসরাফিলকেও শোকজ করেন তিনি। একইদিন আরও কয়েকজন প্রার্থীকে শোকজ করে কমিটি। সবচেয়ে বেশি শোকজ করা হয় বৃহস্পতিবার। ওইদিন ২০ জনের বেশি প্রার্থীকে শোকজ করা হয়। এদিকে ১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচার শুরুর সুযোগ নেই জানিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটের ২১ দিন আগে কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে যেকোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো এবং পত্রপত্রিকায় কিছু বিশিষ্টজন মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। ইসির মতে, গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি মোটেও কাম্য নয় বলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
একতরফা নির্বাচনে রাষ্ট্রের ২ হাজার কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে : রিজভী
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.