স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ-বিদেশের সবাই শেখ হাসিনার আসন্ন অভিনব ভোট ডাকাতির ফর্মূলা আগেভাগেই জেনে গেছে। সহযোগী নির্বাচন কমিশন রকিব ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে বিজয়ী করে রেকর্ড গড়েছেন। হুদা কমিশন ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ব্যালটে সিল দিয়ে ভোট ডাকাতির অভূতপূর্ব রেকর্ড তৈরি করেছে বিশ্বে। এবার ফ্যাসিবাদের দোসর কাজী হাবিবুল আওয়াল সরকারের ‘চুজ অ্যান্ড পিক’ করা হবে ভোটের রাতে ফল ঘোষণার মাধ্যমে। তবে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা যেসব কুইন্স পার্টি-তৃণভোজী পার্টি-ডামি পার্টি-খুদ-কুঁড়ো পার্টি এবং বিভিন্ন দল থেকে অচ্ছুত লোকজন হায়ার করে লোকজন নিয়ে এসে সমেত ডাকাতির নির্বাচনী ট্রেনে চড়েছেন সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছুতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। সুমতি হলে তার আগেই সরকারের ফ্যাসিবাদ মডেলের নির্বাচনী মডেল থামিয়ে জনগণের দাবি মেনে নিন। অন্যথায় এক্সিডেন্ট অথবা পতন অনিবার্য। শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক শক্তি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশিত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি ভোট ডাকাতির উৎসবের পথ বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে তা ভোটারদের নয়, জনগণের জন্য নয়, এটা হতে চলেছে সরকারের আরেকটি কদর্য রাজ্যাভিষেকের উৎসব। শুক্রবার ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তাদের নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করছে’। কিন্তু তাদের ট্রেনের সব যাত্রী তো নৌকা আর আওয়ামী লীগের গণবিচ্ছিন্ন লোকজন। নগদ টাকায় ক্রয় করা কতিপয় উচ্ছিস্টভোগী বেইমান গণশত্রুকে ছলেবলে কৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে সঙ্গে ট্রেনে তুলেছে। ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোটের খোয়াবে যারা এলাকায় গেলে ভোটবঞ্চিত মানুষের গণধোলাইয়ের শিকার হতে পারে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ ইউরোপ-আমেরিকা নিশ্চিত হয়েছে যে, আরেকটি তামাশার পাতানো নির্বাচনরঙ্গ মঞ্চস্থ করতে চলেছে এই সরকার। এ কারণে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে এই ভুয়া নির্বাচনে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেন না। অন্য সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। রিজভী বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব তখন গত ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখল করে থাকা আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই। আমাদের কাছের প্রতিবেশী ভারত, যে রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক এবং গণতন্ত্রের ঐতিহ্য আছে। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয়? তারা মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও তারা ১৮ কোটি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা অতীব দুঃখজনক। এই ভারতের সমর্থন শক্তিতে আওয়ামী লীগ দেশটাকে গিলে ফেলেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.