আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পুলিশের এসআই পরিচয়ে মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে সোহেল রানা হিমেল নামের এক প্রতারককে হাতকড়াসহ গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ১০ নভেম্বর শুক্রবার রাতে তাকে হাতকড়াসহ গ্রেফতার করা হয়।
থানাসূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে এসআই শেখ হাদীউজ্জামান, এএসআই রওশন আলী, এএসআই রাসেল তালুকদার ফোর্সসহ থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও আইন শৃংখলা রক্ষায় ডিউটি করছিলেন। এ সময় তারা সংবাদ পান রেল জগন্নাথপুরে বসবাসকারী নিজেকে পুলিশ অফিসার (এসআই) পরিচয় দেন। সে এসআই পরিচয় দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে জনসাধারণের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। পুলিশ দ্রুত রেল জগন্নাথপুরে যান এবং সোহেল রানা হিমেল নামের ওই ভুয়া এসআইকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশের ভুয়া এসআই প্রতারক সোহেল রানা হিমেল (২৭) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের রেল জগন্নাথপুর গ্রামে বসবাস করছে। হিমেলের বাড়ির সামনে থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার হেফাজত হতে একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরি করা মোটরসাইকেল নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীপক্ষের হাতে ধরা পড়েন পুলিশের এসআই পরিচয় দেয়া এই সোহেল রানা হিমেল। গত বছরের ২৯ মার্চ রাতে পাত্রীপক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের শেখপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
পরে তার স্বীকারোক্তিতে শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় পুলিশের পোশাক ও নগদ টাকা। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় ঝিনাইদহ থেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ট্রায়াল দিতে কৌশলে চুরি করা মোটরসাইকেল।
এর আগে পুলিশ পরিচয়ে ওই পাত্রীরই এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জামিনের কথা বলে নগদ টাকা হাতিয়ে নেন সোহেল রানা।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, সোহেল রানা হিমেল একজন পেশাদার প্রতারক। সে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে। তার ইতঃপূর্বে দুইটি মামলা রয়েছে। আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
বর্তমান সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.