চুয়াডাঙ্গায় কর্মসূচির খবর পাওয়া না গেলেও মেহেরপুরে বিএনপির ঝটিকা মিছিল
অবরোধের তৃতীয় দিনেও মাঠ দখল করে ছিলেন ক্ষমতাসীনরা
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধে চুয়াডাঙ্গায় কোনো কর্মসূচি চোখে না পড়লেও মেহেরপুরে জেলা বিএনপির ঝটিকা মিছিল করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবরোধের শেষ দিনে সকালে শহর ছেড়ে মেহেরপুর সদর উপজেলা ইছাখালী পাকুড়তলা মোড় থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঝটিকা মিছিল শুরু হয়। এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদসভা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলাব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধে ছিলো না কোন সহিংসতা। সকল কিছু স্বাভাবিক থাকলেও চলেনি শুধু দুরপাল্লার পরিবহন। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলার কোথাও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে চুয়াডাঙ্গা শহরের মোড়ে মোড়ে এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। সেই সঙ্গে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। জেলা শহর ছিলো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের দখলে। মোটরসাইকেল শো ডাউন ও খ- খ- মিছিল করেছে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। গতাকল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড়, রেলবাজার, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কলেজ মোড়, চৌরাস্তার মোড়, কোর্ট মোড়, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড মোড় ও ভিমরুল্লাহ-জেলখানা মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পালাক্রমে তিনদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, যুবলীগ নেতা পীরু মিয়া, শেখ শাহী, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, দিপু বিশ্বাস, তানভীর রেজা টুটুল, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিউল শেখ সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সার্বিক সদস্য খালিদ ম-ল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠু, সহ-সভাপতি জুয়েল, ৭নং যুবলীগের সভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাব, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম, আর আরো উপস্থিত ছিলেন সুমন,রুবেল, বক্কর, আশা, রাসেল, আরিফ, বাবু, তারিক, সোহাগ,নোমান, টিপু , মোনাজাত, রিংকু, টিপু, কবির, লিপ্টন, হাসান, সজীব, আবুল্লা, তিব্বত, আবুল,জনি, রফি, তন্ময়, জনি, সিকদার, সাব্বির, জিতু, জিনারুল, বিপ্লব, শাহিন, লালটু, বাচ্চু, জাহিদ, সাকের, আরাফাত, রসূল, রতন, রজত, রনি, ইমরান,নয়ন,অমিত, সান, রকি, ইমন, পারভেজ, সিফাত, মাহফুজ, রাজা, রানা, আবির, শিশির, রাজন, মিলন , টিটন, আলো, রনি ,জনি ,বিপ্লব, সোহেল, তুষার, সোহান, আলামিন , ইয়াসিন, রবিন, নয়ন, নাঈম, শাকিল, ইমরান, কাফি, শাকিব, তানজিল, মিশা, আলী, ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ ওয়াসিম, শাকিল, সাব্বির, জিম, আরিন, জুয়েল, সবুজ, কবির, শরিফুল, হৃদয়, শরিফ, রুবেল সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজ পারভিনের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের নাশকত ঠেকাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করা ও সাধারণ জনগণের সাধারণভাবে জীবনযাপন উৎসাহিত করার জন্য ভ্যানযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলার বড় বাজার হাসান চত্বর কোর্ট মোড় একাডেমি মোড় কেদারগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকায় শো- ডাউন ও অবস্থা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় জেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন, আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, পূর্ণিমা হালদার, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, মিমি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ, মাহফুজ, আকাশ, কুতুব, রিপন, শাওন, সিফাত, জিরান, সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ঠেকাতে নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই আলমডাঙ্গা রেল স্টেশন ও পশুহাট লালব্রিজে সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ উজ জামান লিটু বিশ^াস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, ট্রাক ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, যুগ্মসম্পাদক হাসানুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, যুবলীগ নেতা ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম, নূর আলম, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল সাকিব, সজিব, আসিফ, পলাশ, মশিউর, নাহিয়ান, রুদ্র, রিয়ন, শান্ত, সাম্য, রাসেল, দিপ্ত, মাহিন, শ্রমিকলীগ নেতা লাল্টু প্রমুখ।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গায় পৌর যুবলীগের আয়োজনে স্টেশন রোডে যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুল হক ডিটুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আমহেদ মল্লিক লাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনিরুজ্জামান হিটু, আব্দুল্লাহ আল রনি জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইউপি সদস্য আবু মুছা, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, হাসান, ছমির, রনি, রাসেল, রকি, মেহেদী, ওয়াসিমসহ আলমডাঙ্গা পৌরসভার সকল ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপি জামায়াত কতৃক ঢাকায় পুলিশ হত্যা, অগ্নি সংযোগ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবাদ মিছিলটি জেহালা পান হাট থেকে বের হয়ে মুন্সিগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাষ্টার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ডা, জাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, মনির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুব উদ্দিন, শাহার আলী, রাব্বানী মস্তফা, আরিফুল ইসলাম নয়ন, মিনাজ উদ্দিন, আলিফ, সোহেল তিতুমীর, আবু তাহের, ইসলাম উদ্দিন, লাল্টু, আনিছুর রহমান, লিপন মেম্বর, মনছের, লিপন মিয়া, সিদ্দিক, মিঠুন, শুকুর আলী, ফারুক, রবিউল, হাসেম মেম্বর, তরিকুল, সিরাজুল, গোলাম মাষ্টার, মাসুদ, নাসের, পিঞ্জিরা মেম্বর, রতন, শুভ, আকাশ, মিন্টন, মামুন, নাহিদ, ইকবাল, রাব্বি প্রমুখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল হিসেবে কেন্দ্রের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে শহর ছেড়ে সীমান্তে মিছিল করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতাকল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা ইছাখালী পাকুড়তলা মোড় থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঝটিকা মিছিল শুরু হয়। এরপর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। এ সময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। মিছিল থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ অবরোধের প্রথম দুইদিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সেøাগান দেয়া হয়। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাসুদ তরুণ দাবি করেন, অবরোধের প্রথম দুদিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৫২ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তবে নাশকতা ঠেকাতে ৩১ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।
এদিকে, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবাযক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর শহীদ ড. শামসুদ্দোহানগর উদ্যানে গিয়ে শেষ করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, পৌর যুবলীগের সভাপতি শেখ কামাল, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ প্রমুখ। এই সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা নাসির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন,মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. এ এস এম নাজমুল হক সাগরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় উপজেলার বামন্দী থেকে ৪ শতাধিক মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্রদক্ষিণ শেষে গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে হরতাল অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার বানু। গাংনীয় উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন শেখ, বামুন্দী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জিয়ারুল হক, মোটমুড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ চঞ্চল, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রিপন, সহ-সভাপতি শওকত আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহাজান আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না, মটমুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি লিখন, সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.